শনিবার বগুড়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের জলেশ্বরীতলা প্রি-ক্যাডেট স্কুল হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর বাদশা। এসময় তিনি বলেন, কৃষি ও কৃষক ছাড়া দেশ জাতির উন্নয়ন সম্ভব না। এই কারণে কৃষক লীগ আওয়ামী লীগের একটি গুরুত্বপূর্ন সংগঠন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংগঠনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কৃষক লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেজন্য ভবিষ্যতে এমন নেতৃত্ব আসতে হবে যারা কৃষকদের সঙ্গে একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে। যাতে কৃষক লীগ সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। সারা দেশে কৃষকসমাজকে সংগঠিত করে কৃষক-জনতার সার্বিক উন্নয়ন সাধন করাই হবে কৃষক লীগের মূল নীতি।
দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
বগুড়া জজকোর্টের শিক্ষানবীশ আইনজীবী ও কৃষক লীগ নেতা মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন পৌর কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাসুদ রানা সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হেলাল উদ্দিন, পৌর কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হযরত আলী।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার পারভেজ বাবু, অধ্যাপক শ্যামল পাইকার, আবু বক্কর সিদ্দিক রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদল রহমান, শাহিন কাদির জোয়ারদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জমান তুষার, আরিফুল ইসলাম সুমন, প্রচার সম্পাদক মাহমুদ খান ডন, সদস্য বজলার রহমান বকুল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সদস্য তৌফিক হোসেনসহ প্রমুখ।