তুফান সরকার।
বগুড়ায় আদালতে হাজির হতে দেরি করায় আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ও বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকারের জামিন বাতিল হয়েছে। রোববার (৭ মার্চ) দুপুর একটার দিকে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হক জামিন বাতিলের আদেশ দেন।
এ সময় তুফান সরকারের সহযোগী আতিকুর রহমানেরও জামিন বাতিল করেন আদালত।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) নরেশ চন্দ্র মুখার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার আদালতে তুফান সরকারের জামিন আবেদন নিয়ে শুনানি (টাইম পিটিশন) ছিল। কিন্তু দুদকের একটি মামলায় তিনি কারাগারে থাকায় আদালতে হাজির হতে দেরি হয়। এ কারনে তুফানের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
নরেশ মুখার্জি জানান, এ ছাড়া তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার জামিনও বাতিল করা হয়।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি একই আদালত তুফান সরকারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। সেই জামিন দেয়ার ৫০ দিনের মাথায় আদালত জামিন নাকচ করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই বাসায় ডেকে এনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। ঘটনার জেরে ২৮ জুলাই তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান এবং তার বড় বোন ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান মেয়েটি এবং তার মাকে বাড়িতে নিয়ে নির্যাতনের পর মা-মেয়ের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন।
পরবর্তীতে ওই বছরের ২৯ জুলাই মেয়েটির মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ধর্ষণের ঘটনায় তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া নির্যাতন ও মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আলাদা ধারায় আরেকটি মামলা করা হয়।
মা-মেয়েকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার সেই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। এ মামলায় তুফান সরকার জামিনে রয়েছেন।