প্রতীকী ছবি।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বেকার যুবকের ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। খোকন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন।
এ বিষয়ে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন চাকরি প্রত্যাশী যুবক শামীম রেজার বড়ভাই আব্দুল হাই। থানার ওসি কৃপা সিন্ধুবালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনের সঙ্গে উপজেলার মহিশুরা গ্রামের সানোয়ার হোসেনের ছেলে গোপালনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সেলিম রেজাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার কোনাগাঁতী গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে শামীম রেজা একজন বেকার যুবক। কোনাগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম-নৈশপ্রহরী পদে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেন। প্রায় তিন বছর আগে মহিশুরা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সেলিম রেজার মাধ্যমে তিনি এই টাকা দেয়া হয়। কিন্তু চাকরি পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এরপরেও তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।
অভিযোগ রয়েছে, টাকা চাইতে গেলে ভুক্তভোগীদের হত্যার হুমকিও দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা খোকন বলেন, ‘ওই যুবককে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমুলকভাবে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
