Joy Jugantor | online newspaper

এলাকাজুড়ে উত্তেজনা

দুর্গাপুরে নৌকার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ০৭:৪৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দুর্গাপুরে নৌকার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর

ছবি সংগৃহীত

দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্গাপুর সদর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে দুর্গাপুর সদরসহ আশে পাশের এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ২৩জন নামীয় ও কিছু অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। থানার পুলিশ ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চম ধাপে দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার রাত আনুমান সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়াড দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস। দূর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালিয়ে পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নির্বাচনী অফিস।

এদিকে, ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন থানার পুলিশ। এসময় তারা ভাঙচুর করা ও আগুনে পুড়ে যাওয়া প্লাস্টিকের চেয়ার, কাপড়ের পর্দা ও পেট্রোল বহনকারী প্লাস্টিকের বোতল আলামত হিসেবে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওই ঘটনায় দুর্গাপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের ওয়ার্ড নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক আমজাদ আলী বাদী হয়ে রাতেই ২৩জন নামীয় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী বাদী হয়ে রাতেই ২৩জন নামীয় ও কিছু অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পোড়া চেয়ারসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে। মামলার সুত্রধরে তদন্ত চলছে।

ওসি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। ১১টি ভোট কেন্দ্রে ৯জন নির্বাহী ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটারদের নিরাপত্তায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব ও বিজিবি থাকবে।