বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করছেন কৃষকরা।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চাষিরা ইরি- বোরো চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ধান কাটা শেষ হতেই জমি হাল চাষ করছেন। এছাড়াও জমিতে বিভিন্ন রকমের আগাছা, ধান গাছের গোড়ার অংশ পরিষ্কার করছেন চাষিরা। তাছাড়াও ধান রোপনের জন্য বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ঘন কুয়াশা ও বেশি শীত আসার আগেই বীজতলায় চারাগাছে যাতে কোল্ড ইনজুরি বা শীতকালীন অন্যান্য রোগবালাই আক্রমণ করতে না পেরে শীতের আগেই সেজন্য চারাগাছ তৈরী করতে চান তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমনধান কাটা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু আগে থেকেই চাষিরা শুরু করে দিয়েছেন ইরি-বোরো বীজতলা তৈরীর কাজ। দোকান থেকে ক্রয় শুরু করে দিয়েছেন উচ্চ ফলনশীল জাতের ইরি-বোরো বীজ। এরই মধ্যে অনেক চাষি বীজতলা তৈরী করে তাতে বীজধান বোপন করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, সারিয়াকান্দি উপজেলা এলাকার ১২ ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধান রোপন করা হবে। তবে চরাঅঞ্চলের চেয়ে বিল এলাকার চাষিরা অধিকহারে ইরি-বোরো ধান রোপন করবেন। এজন্য আসন্ন মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি। সেজন্য ৮০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করার জন্য লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যেই বীজতলায় বীজ বোপন শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা।
ফুলবাড়ী গ্রামের চাষি শাজাহান আলী সাজু বলেন, আমি এবার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করবো। এজন্য ১০ শতাংশ জমিতে বি আর ৮৯, ১২০৩, কাটারি ভোগ ও হীরা-১৯ জাতের বীজতলা তৈরী করেছি। আশা করছি প্রচণ্ড শীতের আগেই চারাগাছগুলো রোপনের উপযোগী হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, এ এলাকার চাষিরা অত্যন্ত সজাগ-সচেতন। তারা আমনে যেমন ভালো ফলন ফলিয়েছেন, তেমনি ভাবে ইরি-বোরো আবাদেও পরিশ্রম করে অধিক ফলন ঘরে তুলবেন। এজন্য আমদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।