Joy Jugantor | online newspaper

নন্দীগ্রামে কমছে আলুর চাষ, বাড়ছে সরিষা

অদ্বৈত কুমার আকাশ

প্রকাশিত: ০১:৫৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

নন্দীগ্রামে কমছে আলুর চাষ, বাড়ছে সরিষা

নন্দীগ্রামে কমছে আলুর চাষ, বাড়ছে সরিষা।

আলু চাষে টানা দুই বছর লোকসানে পড়ে এবার সরিষার চাষ শুরু করেছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা। সরিষা চাষে আলুর চেয়ে খরচ অনেক কম। এছাড়াও অল্প পরিশ্রমেই সরিষার ফলন ভালো হয়। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত রবি মৌসুমে নন্দীগ্রামে সরিষা চাষ করা হয় চার হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। এবার এখন পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। গতবার তিন হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়। এবার ৯৫৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার বাদলাশন গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘৮০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আর আলু চাষ করেছি তিন বিঘা জমিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার ১০ বিঘা জমিতে আলু ছিল। আলু চাষে খরচ ও পরিশ্রম বেশি। এছাড়াও আলু লাগানো জমিতে ইরি ধানের আবাদ ভালো হয় না। এজন্য সরিষার চাষ বেশি করেছি। কম খরচ ও পরিশ্রমে সরিষায় লাভ ভালো হওয়ার পাশাপাশি ইরি ধানের আবাদও ভালো হয়।’

দোহার গ্রামের কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, ‘এবার আলুর চাষ করিনি। সরিষা বুনেছি আড়াই বিঘা জমিতে। গত বছর দুই বিঘা জমিতে আলুর  আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালই হয়েছিল। তবে দাম ভাল পাইনি’

তিনি আরও বলেন, ‘সরিষা চাষে ঝামেলা কম। ঠিক সময়ে ইরি ধানের আবাদ করা যায়। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, নন্দীগ্রামের কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বেশিরভাগ কৃষক এবার সরিষার চাষ করেছেন। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের রবি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় এ উপজেলার মোট ৪ হাজার ৩৩০ জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।