
বগুড়ার শেরপুরে আমন ধান কাটছে কৃষকেরা।
বগুড়ার শেরপুরে আমন ধানের জমিতে সোনালী ধানের শীষে ছেয়ে গেছে। সব জমিতেই আশানুরুপ ফলনের আশা করছেন চাষীরা। এরই মধ্যে জমি থেকে ধান কাটা শরু হয়েছে। তাতে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার প্রায় ২২হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। শুরুতেই দেরিতে আবাদ অন্যদিকে খরার শঙ্কা ছিলো, তারপর আবার বেড়ে ওঠা ধান গাছে পোকা-মাকরের উপদ্রব পেড়িয়ে এবার খুব ভালো ফলন হয়েছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুটি স্বর্ণা, বিআর-১১, ৪৯, রঞ্জিত জাতের ধানের আবাদ বেশি।
কথা হয় গাড়ীদহ ইউনিয়নের মাগুরগাড়ী এলাকার ধান চাষী আব্দুস সামাদের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রথমে মনে করেছিলাম হয়ত এবার আমন ধনের ফলন ভালো হবে না। কারণ এক দিকে যেন খরা অন্য দিকে পোকা-মাকরের কারনে ফসল মার খেতে বসেছিলো। কিন্তু এখন দেখছি ধানের মান ভালো হয়েছে।
আব্দুস সামাদ বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে বি আর ৪৯ জাতের ধান এবার আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ প্রায় ১১ হাজার টাকা। তবে ২০ মন হারে জমিতে ফলন হয়েছে। ধানের দাম বেশি থাকায় ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা বিঘা প্রতি লাভ হবে।
গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামের ধান চাষী মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার পোকার মাকড় বেশি দেখা দিলেও কিটনাশক প্রোয়োগ করার পর তা সেরে গেছে। আমি এবার ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা প্রতি এবার পোকা-মাকর লেগেছিলো এজন্য খরচ বেশি। তবে খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা জমিতে থাকবে।
মাগুর গাড়ি এলাকার আতাউর রহমান জানান, আমি এবার ৬ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় প্রায় ১০ হাজার টাকা করে খরচ। তবে ধানের দাম বৃদ্ধি থাকায় প্রতি বিঘার ধান বিক্রি করা হচ্ছে ১৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
গাজীউর রহমান জানান ৫ বিঘা আবাদ করছে। এবার অনেকদিন পর লাভের মুখ দেখেছেন।
শেরপুর উপজেলা উপশহকারী কৃষি জিএম মাসুদ, সময়মত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করায় ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে কৃষি কর্মীদের অনেক পরিশ্রম করছেন। এ ছাড়াও চাষীরা আমন ধানের ফলন ভালো করার জন্য উঠে-পরে লেগেছিলেন।