Joy Jugantor | online newspaper

ইলিশ বিচরণের অভয়াশ্রমের সীমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২৮ জুন ২০২২

ইলিশ বিচরণের অভয়াশ্রমের সীমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে।

দেশে ইলিশ বিচরণের ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে দুটির সীমানা আরও বিস্তৃত করার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া নদ-নদীর অন্যান্য মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়। সোমবার( ২৭ জুন) চাঁদপুরে দেশের শীর্ষ মৎস্যবিজ্ঞানীদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় তারা এমন প্রস্তাব দিয়েছেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র- চাঁদপুরের আয়োজনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের সম্মেলনকক্ষে এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, দেশের বিশিষ্ট মৎস্যবিজ্ঞানী ড. খোন্দকার রশীদুল হাসান। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অর্ধশত মৎস্য বিজ্ঞানী ছাড়াও স্থানীয় জেলে এবং মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেন। কর্মশালার শুরুতে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ২০২১-২২ ও গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনা ২০২২-২৩ প্রণয়ন উপস্থাপনা করা হয়।
 
পরে এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, সাবেক মহাপরিচালক ইলিশ গবেষক ড. আবদুল মজিদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার আলী, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক আবদুস সাত্তার, মৎস্যবিজ্ঞানী আসাদুল বাকী, গোলাম মেহেদী হাসান, ফ্লোরা রহমান, তায়েফা আহমেদ, রুমানা ইয়াসমিন, সাংবাদিক ফারুক আহম্মদ, মৎস্যজীবী নেতা শাহ আলম মল্লিক প্রমুখ । কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান, ইলিশ সম্পদ জোরদারকরণ প্রকল্প পরিচালক আবুল বাশার।
 
এ ছাড়া কর্মশালায় বিগত দিনের গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন বেশ কয়েকজন মৎস্য বিজ্ঞানী। এই সময় তারা জানান, আমাদের নদ-নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এসব মাছ টিকিয়ে রাখার জন্য নদ-নদীর পানির গুণগতমান পরীক্ষা চলছে। তাছাড়া দেশের কোন নদীতে কোন ধরনের মাছ বিচরণ করে এবং সেখানকার পরিবেশ ইত্যাদি নিয়েও মৎস্যবিজ্ঞানীরা বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন। একই সঙ্গে ইলিশ বিচরণের কয়েকটি অভয়াশ্রমের সীমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন তারা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের পদ্মা ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী রয়েছে।

এ সময় দেশে ইলিশসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষায় বিভিন্ন প্রস্তাবতা তুলে ধরেন তারা। একই সঙ্গে মাছের পোনা ধ্বংসকারী কারেন্ট জাল, চায়না জালসহ আরও কিছু জাল নিষিদ্ধ ও ব্যবহারে জেলেদের নিরুৎসাহিত করার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
 
কর্মশালায় অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে এখন পর্যন্ত মোট মাছের উৎপাদন হচ্ছে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। এর মধ্যে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন হচ্ছে ইলিশ।