Joy Jugantor | online newspaper

হাইব্রিড মরিচেও ভালো ফলন পাচ্ছেন সারিয়াকান্দির চাষীরা

ইমরান হোসাইন রুবেল

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১২ মার্চ ২০২২

হাইব্রিড মরিচেও ভালো ফলন পাচ্ছেন সারিয়াকান্দির চাষীরা

মরিচের জমিতে কাজ করছেন নারী শ্রমিকরা।

এবার মরিচ চাষে ফলন ও দাম ভালো পেয়েছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চাষীরা। এমন লাভের ধারাবাহিকতায় হাইব্রিড মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। এ থেকে বিপুল পরিমাণ কাঁচা মরিচ উৎপাদন করছেন তারা। 
কৃষি দপ্তর বলছে, চাষীদের মাঝে হাইব্রিড মরিচ আবাদের আগ্রহ বাড়ছে।

চাষীরা বলছেন, দাম ভালো পাওয়ায় কাঁচা মরিচের জন্য হাইব্রিড জাতের আবাদে ঝুঁকেছেন তারা। এবার প্রতি বিঘা জমিতে চাষীরা প্রায় শতাধিক মণ কাঁচা মরিচের ফলন পাচ্ছেন। 

স্থানীয় সূত্রে ও উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বন্যার পরপরই চাষীরা জমিতে অধিক হারে মরিচ চাষ করে থাকেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়ছে। এর মধ্য ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে। তবে ইদানিং সবচেয়ে বেশি চাষ করে থাকেন উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মারিচ। এ মরিচ থেকে বছর জুড়ে কাঁচা মরিচের ফলন পাওয়া যায়। চাষীরা সারাবছর কাঁচা মরিচ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয় করে থাকেন। এবার বাজারে কাচা মরিচের দাম খুবই ভালো। 

চাষীরা জানান বিল এলাকায় কিছু জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ হয়ে থাকলেও চরের চাষীরা অধিকহারে এবার হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছেন। 

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চরের জমি থেকে এবার ভালো ফলনও পাওয়া যাচ্ছে। জমিতে ভাদ্র-আশি^ন মাসে হাইব্রিড মরিচের চারা রোপন করা হয়েছিলো। ৬০ দিন পর থেকেই গাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ফলন এবং তা উত্তোলন চলবে আগামী জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত। প্রতি বিঘা জমি থেকে এ পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ মণ কাঁচা মরিচের ফলন পাওয়া গেছে। 

কাজলা ইউনিয়নের টেংরাকুড়া চরের চাষী আব্দুল মতিন বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ করেছি। ফলন হয়েছে খুবই ভালো। প্রথম দিকে বাজারে দাম ভালো না পেলেও গত ২০-২৫ দিন ধরে ভালো দাম পাচ্ছি। প্রতি কেজি হাইব্রিড কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি ৫০ থেক ৫৫ টাকা দরে। এ দামে বিক্রি করতে পারলে মরিচ ফসলে আমাদের খুবই লাভ থাকবে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল হালিম বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম খুবই ভালো। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাইব্রিড মরিচে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো থাকায় চরের চাষীরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।