Joy Jugantor | online newspaper

শিবগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ

রবিউল ইসলাম রবি

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ৮ মার্চ ২০২২

আপডেট: ১২:৫০, ৮ মার্চ ২০২২

শিবগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ

শিবগঞ্জের গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল।

বগুড়ার শিবগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ লক্ষ করা গেছে। এ অঞ্চলের এমন কোন আমের গাছ নেই যে মুকুল আসেনি! প্রকৃতিতে শীতের প্রকোপ এবার কিছুটা কম থাকায় প্রায় ৬০০ বছরের পুরানো ফল আমের গাছ বেশ আগেভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়। সারা উপজেলা জুড়ে  লক্ষাধিক আমের গাছ ও ছোট বড় মিলিয়ে ১৫-২০টি আমের বাগান রয়েছে। আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা।

এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হচ্ছে। হিমসাগর, চোষা, বউ সোহাগী, ল্যাংড়া, নাগ ফজলি, আলতাপেটি, রানি পছন্দ, দুধ সর, আম্রপালি, লক্ষ্মণভোগ, মল্লিকা, মিছরি দানা, ফজলি ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয় এ অঞ্চলে।

সরেজমিনে আমচাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন।

তাদের মতে, এ উপজেলার সবত্র আমের মুকুল দেখা গেলেও দেউলী, সৈয়দপুর, বুড়িগঞ্জ, বিহার, কিচক, আটমূল, শিবগঞ্জ সদর ও ময়দানহাট্টা ইউনিয়নে  আম গাছের পরিমান বেশি। এসব এলাকার কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আম গুটি।

বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার জামতলি এলাকার আম চাষী তোরাব বলেন, আমার আম্রপালি জাতের ১০টি গাছই মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

দহিলা গ্রামের আম চাষি সোলায়মান বলেন, আমার ৮টি আম গাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।

শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার জানিয়েছেন, শিবগঞ্জের গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল। গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুলের সমারহ দেখা যাচ্ছে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।