Joy Jugantor | online newspaper

সারিয়াকান্দিতে মরিচে স্বস্তি নেই চাষীদের 

ইমরান হোসাইন রুবেল

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সারিয়াকান্দিতে মরিচে স্বস্তি নেই চাষীদের 

এ বছর সারিয়াকান্দিতে মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম গতবারের চেয়ে অর্ধেক কম।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি চরাঞ্চলে মরিচের ফসল ভালো হয়েছে। তবে বাজারে চাহিদা ও দাম কম থাকায় চাষীদের মুখে হাসি নেই এবার। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সবচেয়ে মরিচ চাষ হয়ে থাকে সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলে। চরের উর্বর পলিমাটিতে চাষীরা অধিকহারে চাষ করে থাকেন মরিচের আবাদ। প্রতি বছর মরিচ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা ঘরে তোলেন তারা। এ ফসলটি এখানকার চাষীদের কাছে অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর চরের চাষীরা মরিচ বিক্রি করে জায়গা-জমি ক্রয় করা ছাড়াও ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন। কিন্তু এ বছর মরিচের চাষ করে তাদের মুখে হাসি মলিন হয়ে গেছে। 

তারা জানান, বিগত ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে মরিচের বাজারে এবার ধ্বস নেমেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলে এবার মরিচের চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমি। মাটিতে উর্বরতা ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। প্রতি বিঘা জমি থেকে দেশী মরিচ ৩০ থেকে ৩৫ মণ ও হাইব্রিড ৫০ থেকে ৬০ মণ করে কাঁচা মরিচ ঘরে তুলছেন চাষীরা। ফলন ভালো হলেও বাজারে মরিচের দাম হতাশাজনক। 

কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের মূলবাড়ী চরের মরিচ চাষী মজনু মিয়া বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে এবার মরিচের চাষ করেছি। ফলন ভালো হলেও বাজারে এর দাম নেই। শুকনা মরিচের দামতো একেবারেই নেই। গত বছর এসময় শুকনো মরিচের দাম ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এবার সেখানে দাম মাত্র সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এ দামে মরিচ বিক্রি করে আমাদের তেমন একটা লাভ থাকছেনা। 

বাটিয়া চরের চাষী শামছুল আলম বলেন, আমি জমি বর্গা নিয়ে ২২ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। জমি থেকে মরিচ তোলাও শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম নেই। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮’শ টাকা আর পাকা মরিচ বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে ১১’শ টাকা মণ দরে। মরিচ চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এ দামে মচির বিক্রি করে আমার উৎপাদন খরচই উঠছেনা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, দাম একটু কম হলেও ফলন হয়েছে ভালো। হয়তো বা লাভ বেশি হচ্ছে না তবে ক্ষতির মুখেও পরেনি মরিচ চাষীরা।