Joy Jugantor | online newspaper

জয়পুরহাটে বেড়েছে সরিষার আবাদ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

জয়পুরহাটে বেড়েছে সরিষার আবাদ

ছবি সংগৃহীত

ঋতুর পালাবদলে এখন চলছে তীব্র শীতকাল। এই শীতে মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের সরিষা ফুল। গ্রামের দিগন্তজুড়ে সেজেছে যেন হলুদের রানি। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ সবাইকে আকৃষ্ট করছে। আর হলুদের এমন সমারোহ চোখ জুড়ে যাবে যে কারও। 

এমন দৃশ্য জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার। আলুর পাশাপাশি এ জেলায় এবার বিপুল পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

সরেজমিনে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূরানাপৈল, দস্তপুর, হালট্টি, জলাটুলসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের রাস্তার দু’পাশে যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় শুধু সরিষার চাষ। সরিষার হলুদ ফুল ছেয়ে গেছে মাঠজুড়ে। এমন দৃশ্য মুগ্ধ করছে মানুষকে। ইতিমধ্যে সরিষা গাছে আসতে শুরু করেছে দানা। 

কৃষকরা জানান, কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় সরিষা চাষে। এছাড়া ভোজ্য তেলের দাম লাগামহীন হওয়ায় এ জেলায় গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। ফলে রোপন করা সরিষা নিয়ে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

সদর উপজেলার হালট্টি গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ন্যায্য বাজার মূল্য পেলে ২০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’ 

পূরানাপৈল এলাকার এমদাদুল হক বলেন, ‘গত বছর এই এলাকায় এতো সরিষার চাষ ছিলনা। এবার ভোজ্য তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সষিরার চাষ বেশি করেছেন। আমিও এবার ৩ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। এক বিঘাতে ৬/৭ মণ ফলন হয়। তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করা যায়।’

কোমরগ্রামের রমজান আলী বলেন, ‘তেলের দাম এতো বেশি, তাই ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি তেল উৎপাদনের জন্য। এছাড়া সরিষা থেকে উৎপাদিত খৈল সারাবছর গরুকে খাওয়ানো যাবে।’ 

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জয়পুরহাটে ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর বেশি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কৃষক সরিষা চাষ করছেন তাদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা সহজ ও অল্প খরচে চাষ করা যায়। আশা করছি জেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।’