Joy Jugantor | online newspaper

হলুদে সেজেছে মাঠ, সরিষায় বেশি ফলনের সম্ভাবনা

চম্পক কুমার

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

হলুদে সেজেছে মাঠ, সরিষায় বেশি ফলনের সম্ভাবনা

জয়পুরহাটে সরিষার মাঠ

গাছে গাছে হলুদ ফুল আর সেই ফুলের মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছি তার গুনগুন শব্দে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত। সবুজ গাছের হলুদ ফুলে শীতের কুয়াশায় সোনাঝরা রোদ ঝিকমিক করছে। অপরূপ এই সৌন্দর্যে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি।

প্রকৃতির মাঝে হলুদের এমন সমারোহ দেখা মিলবে জয়পুরহাট জেলার অধিকাংশ ফসলের মাঠে। খেতের পর খেত যা শুধু সরিষা আর সরিষা। দিগন্ত জোড়া এই হলুদ ফুল আর তার শীষে থাকা ছোট ছোট বীজ কৃষকদের দেখাচ্ছে বাম্পার ফলনের আশা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় সরিষার ফলনও বাড়বে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে সরিষার অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় এবার ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি চাষ হয়েছে। 

জেলার সদর উপজেলার করিম নগর গ্রামের সরিষা চাষী আব্দুল মতিন বলেন, আমি এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেছি। গাছ ভালো হওয়ায় ভালো ফলন হতে পারে।

আরেক চাষী হাফিজুর রহমান জানান, গত বছর সরিষার চাষ না করলেও তিনি এ বছর সরিষা চাষ করেছেন। কারণ, বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশি। তাই তেল খাওয়ার জন্য তিনি এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এর প্রধান কারণের মধ্যে রয়েছে - বাজারে সরিষা এবং ভোজ্য তেলের দাম বেশি, গত মৌসুমে আলু চাষ করে অনেকের লোকসান হয়েছে। এবার তারা আলুর আবাদ কমে দিয়ে সেই জমিতে সরিষার চাষ করছেন। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদী।