Joy Jugantor | online newspaper

আগাম টমেটোতে নতুন স্বপ্ন দেখছে বগুড়ার শেরপুরের চাষীরা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২০ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৫:৫৯, ২০ নভেম্বর ২০২১

আগাম টমেটোতে নতুন স্বপ্ন দেখছে বগুড়ার শেরপুরের চাষীরা

টমেটো জমিতে পরিচর্যা করছেন চাষী।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চাষীদের উৎপাদিত টমেটো বাজারে আসবে আর কয়েকদিনের মধ্যে। চাষীরা আশা করছেন এসব টমেটোর ভালো বাজার দর পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারাও বলছেন, দাম ও সবজির মান ভালো পাওয়ায় আগাম টমেটো চাষে ঝুঁকছেন এই উপজেলার চাষীরা। কৃষি অফিস থেকেও তাদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। 

শেরপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার চাষী সাড়ে চারশো বিঘা জমিতে আগাম জাতের টমেটোর আবাদ করেছেন। অধিকাংশ চাষীরা লাভলী, বিউটি, হাইটম, বিপুল প্লাসসহ নানা জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চারা লাগিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এবার ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগামী সপ্তাহে আগাম টমেটো বাজারে বিক্রয় করবে।  এতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। বর্তমানে টমেটে ১২০টাকা কেজি কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমিতে টমেটো চাষ করছেন চাষিরা। রাত-দিন সমান তালে ক্ষেতের পরিচর্যায় সময় পার করছেন। উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা লুৎফর রহমান জানান, অতি বৃষ্টির কারণে এ বছর সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কাজে নির্ভরশীল এলাকার মানুষ। এখানকার চাষিদের আবাদকৃত সবজি থেকে দেশের বড় চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। শেরপুর উপজেলার সবজি ও চারা দেশের চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার সবজি চালান হয়ে থাকে।

সুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের গ্রামের আরেক টমেটো চাষি হায়দার আলী জানান, তিনি ২৫ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। সেখানে ২০ হাজার টাকা খরচ করে ২ লাখ টাকা বিক্রয়ের আশা করছেন। তবে এবার দাম ভালো পাওয়ার আশা। 

তিনি আরো জানান, টমেটো চাষের জন্য কৃষি অফিস বীজ, সার ও উপকরণ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শে কাজ করায় রোগ বালাই ও পোকা মাকড় তেমন আক্রমণ এবার চোখে পড়ছে না। সার্বক্ষনিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মাসুদ আলম জানান, রোগ বালাই থেকে ক্ষেত মুক্ত রাখতে সার্বক্ষনিক আমরা ব্যবস্থা পত্রের মাধ্যমে ও সরেজমিনে পরামর্শ দিয়ে থাকি।  

শেরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ৬০ হেক্টর (৪৫০ বিঘা) জমিতে টমেটো চাষ করেছেন এখানকার চাষীরা। কয়েক বছরে উপজেলায় সবজি চাষে চাষীরা বেশ সাফল্য এনেছেন। এর মধ্যে আগাম টমেটো অন্যতম। 

স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে চাষীদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ নানা কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি টমেটো চাষের জন্য সবধরণের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানান এই কৃষিবিদ।