Joy Jugantor | online newspaper

মাগুরায় হলুদ আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১৮ নভেম্বর ২০২১

মাগুরায় হলুদ আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

মাগুরায় হলুদ আখ। 

কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে হলুদ আখ। এ আখ খেতে নরম ও মিষ্টি হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। ব্যাপক ক্রেতা থাকায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। পাশাপাশি এ বছর আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি জেলার কৃষকেরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব আখ যাচ্ছে ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফলে জেলাব্যাপী দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হলুদ আখের চাষ।

জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ও কাদিরপাড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় আখ চাষের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। জেলায় এ বছর প্রায় ৫৫ একর জমিতে চাষ হয়েছে হলুদ আখ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র অনুযায়ী, ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে খরচ কম, সময়ও লাগে কম। সে অনুপাতে লাভ বেশি। একর প্রতি আখ চাষে খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। তবে, বিক্রি হয় প্রায় এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।

শ্রীপুর উপজেলার ঘাসিয়াড়া এলাকার আখ চাষি বাবু শেখ বলেন, ‘বিশ বছর ধরে আমি আখ চাষ করি। আখ চাষের জন্য আমাদের অঞ্চলের মাটি খুবই ভালো। বেশ কয়েক বছর ধরে বেশ ভালো আখ হচ্ছে। মাগুরা ছাড়াও বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ীরা এ আখ নিচ্ছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘ইক্ষু ভাণ্ডারে ভরপুর মাগুরা। এখানে অনেক সুস্বাদু আখ হয়, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে আখ চাষ করে কৃষকেরা এতটা লাভবান হচ্ছেন যে, তাঁরা এখন অন্য ফসল আবাদ করতে চাচ্ছেন না। প্রতি বিঘায় বছরে তাঁরা লাখ টাকা লাভ করছেন। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আখ চাষের ব্যাপ্তি বাড়ছে।’

সুশান্ত কুমার প্রামাণিক আরও বলেন, ‘আখ চাষের আরেকটি সুবিধা হলো, আখ যখন কাটা হয়, এর মধ্যেই আরেকটি রবি শস্য চাষ করা যায়। মাগুরার হলুদ আখকে আমরা ব্র্যান্ডিং আকারে রাখতে চাই। এটিকে মাগুরার ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

কৃষক ও আখ ব্যবসায়ীদের দাবি, কৃষি বিভাগের সহযোগিতা বাড়ালে বৃদ্ধি পাবে আখ চাষ। আখগুলো ভাইরাস ও রোগমুক্ত রাখার জন্য ওষুধ ও কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বাড়বে আখ চাষ। এই ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা গেলে অর্থনৈতিক মুক্তি মিলবে চাষিদের।