Joy Jugantor | online newspaper

সারিয়াকান্দিতে প্রথমবারের মতো আগাম সবজি চাষ

ইমরান হোসাইন রুবেল, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

সারিয়াকান্দিতে প্রথমবারের মতো আগাম সবজি চাষ

আগাম ফুলকপির জমিতে পরিচর্যা করছেন ফুলবাড়ীর শ্যামল বর্মন।

শীতকালীন সবজির বাজার ধরতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় আগাম চাষ শুরু করছেন চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এর আগে সারিয়াকান্দিতে আগাম শীতের সবজির চাষ হতো না। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস ও চাষীদের সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ফুলবাড়ী, নারচি, ভেলাবাড়ী, কুতুবপুর, হাটশেরপুর এলাকায় যমুনা নদীর পানি এসময় প্রবেশ করেনি। ফলে এ এলাকায় চাষীরা হরেক রকমের আবাদ করছেন। 

এ এলাকায় ধান প্রধান ফসল হলেও এবছর আগাম সবজি চাষ করছেন চাষীরা। বিশেষ করে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী নয়াপাড়া, মাঝবাড়ী, হরিনা, কাটাখালী, রামচন্দ্রপুর, রামণগর, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা, জোড়গাছা, নারচী ইউনিয়নের গণকপাড়া, ফকিরপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের মাছিরপাড়া ও বড় কুতুবপুর গ্রামের চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার উপজেলায় ৭১০ হেক্টর জমিতে সব্জি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এখানকার চাষীরা প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের সব্জি চাষ করেছেন। এর মধ্যে হলো ফুল কপি, বাঁধা কপি, ধনিয়া পাতা, লাল শাক, পালং শাক উল্লেখযোগ্য।

ফুলবাড়ী মালোপাড়া গ্রামের চাষী শ্যামল বর্মন জানান, আমি এবার ২০ শতাংশ জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। অন্য জায়গা থেকে চারা কিনে এনে প্রায় ২১০০ চারা রোপন করেছি। এবার পরিমান মত বৃষ্টি হওয়ায় চারাগাছগুলো তরতর করে বেড়ে উঠছে জমিতে। আমার মনে আশার আলো জেগেছে। আগে কখনো সব্জি চাষ করিনি। এবার প্রথম ফসলটি করে ফসলের ধরন দেখে মনে খুশির দোলা লাগছে। আশা করি ভালো ফলন পাব আমি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল হালিম বলেন, এ এলাকায় আগে ছিলো না আগাম সবজি চাষ। এ বছর থেকে দেখা যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত জাতের সব্জি চাষ শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের দেয়া পরামর্শ ক্রমে তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগাম সব্জি চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। এ ছাড়াও এবার বন্যার পানি কম থাকায় চাষীরা আগাম সব্জি চাষ করে ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছি। আমাদের কর্মীরা সব্জি চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।