Joy Jugantor | online newspaper

ভাল ফলনে খুশি দুপচাঁচিয়ায় সরিষা চাষি 

গোলাম মুক্তাদির সবুজ 

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ভাল ফলনে খুশি দুপচাঁচিয়ায় সরিষা চাষি 

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মাঠ জুড়ে এমন সবুজ-হলুদ সরিষার সমারোহ।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাঠে এখন পাকা সরিষার সমারোহ। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার সরিষার আবাদ ও ফলন দুটোই বেশি হয়েছে। সরিষার মান ভাল থাকায় বাজারে ভাল দাম পাওয়া নিয়ে আশাবাদী উপজেলার চাষিরা। 

চাষিরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং গত কয়েক বছর ধরে বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকায় চাষিরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

উপজেলা  কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো দুই হাজার ১০০ হেক্টর। এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে তিন  হাজার হেক্টর। উপজেলায় কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯, টরি ৭ জাত  সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। 

উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, এ অঞ্চলের কৃষকরা বোরো ধান চাষ শুরু এবং আলু ঘরে তোলার ব্যস্ততার ফাঁকে সরিষা গাছ মাঠ থেকে বাড়িতে এনে তা পালা করে সংরক্ষণ করছে। কিছু কিছু কৃষক যান্ত্রিক সুবিধায় ধান মাড়াই কলে জমিতেই সরিষা মাড়াই করে সরিষা দানা ও গাছ আলাদা করছে।  জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ করছেন কৃষকরা। 

সরিষা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেকে সরিষার ফলন ঘরে তুলে ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ।

উপজেলার মাটিহাঁস গ্রামের চাষি ফেরদৌস হোসেন জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা। দুই বিঘা জমিতে ১২ মণ সরিষার ফলন হয়েছে।

উপজেলার কাথাহালী গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও ভালো হয়েছে । কাঁচা সরিষার বর্তমান বাজার দর ১৮০০ থেকে ২১০০ টাকা। তবে রোদে শুকিয়ে পরে বিক্রি করলে সরিষার বাজার দর আরও বেশি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম  জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং  কোন রোগ বালাই না থাকায়  সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ করে ৫ থেকে ৬ মণ করে সরিষার ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। এতে করে অল্প খরচে বেশি লাভবান হচ্ছেন সরিষা চাষিরা।